সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির নীতিমালায় সংশোধন

সংশোধন আনা হয়েছে সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি নীতিমালায়। সহোদর-সহোদরা বা যমজ ভাইবোন যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে সে ক্ষেত্রে অপরজন ভর্তি কমিটিতে আবেদন করতে পারবে। ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ সুবিধা একটি পরিবারে সর্বোচ্চ দুই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ সংক্রান্ত আবেদন জমা দেওয়া যাবে।

 

রবিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি হতে ৯ম শ্রেণিতে সহোদর/সহোদরা যমজ ভাই/বোনের ভর্তি সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছিল। এ আদেশের অনুচ্ছেদ ২ এর ২.৬ এ উল্লিখিত সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোনের ভর্তির আবেদন নিষ্পত্তির তারিখ ১৫ জানুয়ারির পরিবর্তে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা সংশোধনীতে বলা হয়েছে, অনুচ্ছেদ ১১.৫ অনুয়ায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ও অধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হলে সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর দপ্তর প্রধানের/নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে ক্ষেক্ষেত্রে তার একধাপ উপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

 

অনুচ্ছেদ ১২ অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোন যদি আগে থেকে সেই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ররত থাকে, সেসব যমজ বা সহোদরের ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে এ সুবিধা কোনো দম্পতির সর্বোচ্চ দুই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর বা যমজ ভাই/বোনের ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ভর্তি করাতে পারবে।

 

তবে আবেদন সংখ্যা অধিক হলে ভর্তি কমিটির মাধ্যমে লটারির ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান থেকে ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচন করা যেতে পারে। ২০২৪ সাল থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সফটওয়্যারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পাকিস্তানকে কঠোর বার্তা ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনো শেষ হয়নি- মোদি

» ডেভিল হান্টে কয়টা বড় আ. লীগ গ্রেপ্তার হয়েছে? সব তো নাতি পুতি আ. লীগ গ্রেপ্তার হয়েছে: মনি

» ৭১ ইস্যু নতুনভাবে সামনে আনা ফ্যাসিবাদী আচরণ: দেলাওয়ার হোসেন

» ‘শেখ পরিবারের সবাই তো এক না, তিনি আমার স্ত্রী, আমার তো একটা আইডেন্টিটি আছে: পার্থ

» আদর্শিক লড়াইয়ে আসুন, সিদ্ধান্ত ছাত্রসমাজ নেবে: কেন্দ্রীয় শিবির সভাপতি

» ‘বিএনপি ও এনসিপি ভাইডি তোমরা ও কি ‘র’- এর খপ্পরে পড়েছো : পিনাকী

» পুলিশ কিলার ফোর্স নয়, বড়জোর শটগান থাকতে পারে : আইজিপি

» মিসরের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» ‘বাংলাদেশ-ভারতে ২৪ থেকে ২৬ মে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় শক্তি’

» সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় নতুন দল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির নীতিমালায় সংশোধন

সংশোধন আনা হয়েছে সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি নীতিমালায়। সহোদর-সহোদরা বা যমজ ভাইবোন যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে সে ক্ষেত্রে অপরজন ভর্তি কমিটিতে আবেদন করতে পারবে। ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ সুবিধা একটি পরিবারে সর্বোচ্চ দুই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ সংক্রান্ত আবেদন জমা দেওয়া যাবে।

 

রবিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি হতে ৯ম শ্রেণিতে সহোদর/সহোদরা যমজ ভাই/বোনের ভর্তি সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছিল। এ আদেশের অনুচ্ছেদ ২ এর ২.৬ এ উল্লিখিত সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোনের ভর্তির আবেদন নিষ্পত্তির তারিখ ১৫ জানুয়ারির পরিবর্তে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা সংশোধনীতে বলা হয়েছে, অনুচ্ছেদ ১১.৫ অনুয়ায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ও অধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হলে সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর দপ্তর প্রধানের/নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে ক্ষেক্ষেত্রে তার একধাপ উপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

 

অনুচ্ছেদ ১২ অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোন যদি আগে থেকে সেই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ররত থাকে, সেসব যমজ বা সহোদরের ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে এ সুবিধা কোনো দম্পতির সর্বোচ্চ দুই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর বা যমজ ভাই/বোনের ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ভর্তি করাতে পারবে।

 

তবে আবেদন সংখ্যা অধিক হলে ভর্তি কমিটির মাধ্যমে লটারির ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান থেকে ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচন করা যেতে পারে। ২০২৪ সাল থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সফটওয়্যারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com